শিখনকালীন মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়

শিখনকালীন মূল্যায়ন কিভাবে করা যায় - শিখনকালীন মূল্যায়ন কিভাবে করা হয়



শিখনকালীন মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়



শিখনকালীন মূল্যায়ন: পাঠ চলাকালীন শিক্ষার্থীর অগ্রগতি যাচাই করে প্রয়োজনীয় নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যে মূল্যায়ন করা হয় তাই ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা শিখনকালীন মূল্যায়ন।

পাঠ চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে এই মূল্যায়ন হয়ে থাকে এবং চূড়ান্ত মূল্যায়নের পূর্ব পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই মূল্যায়ন চলতে থাকে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সবলতা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে ফিডব্যাক প্রদানের মাধ্যমে তাদের চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্যে উপযুক্ত করে গঠন করা হয়।
এ মূল্যায়নের উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যৎ শিখনকে আরো বেশি কার্যকর করা। এ ধরনের মূল্যায়নকে শিখনের জন্য মূল্যায়ন বা Assessment for Learning বলা হয়। এ মূল্যায়ন শ্রেণিকক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক হতে পারে।

প্রশ্ন: সামষ্টিক মূল্যায়ন কি বা কাকে বলে?

উত্তর:
সামষ্টিক মূল্যায়ন: নির্দিষ্ট সময় বা পর্যায় সমাপ্তিতে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি যাচাই করার জন্য যে মূল্যায়ন করা হয়, তাকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বলে।
এই মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে বছরে ২ বার। এ মূল্যায়ন দ্বারা শিক্ষার্থীদের পাস বা ফেল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং তাদের সাফল্যের তুলনামূলক অবস্থা নির্ণয় করে মেড বা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এ মূল্যায়ন শেষে শিক্ষার্থীদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে শিখন সহায়তা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই এ মূল্যায়নকে শিখনের মূল্যায়ন বা Assessment of Learning বলা হয়।

প্রশ্ন: শিখনকালীন মূল্যায়ন / ধারাবাহিক মূল্যায়ন কিভাবে নিবে?

উত্তর: ক্লাস চলাকালীন যেসব বাড়ির কাজ গুলো দেওয়া হয়, সেগুলোই হলো শিখনকালীন মূল্যায়ন। ক্লাসে শ্রেণিশিক্ষক বিষয়ভিত্তিক যেসব বাড়ির কাজ গুলো দেয় সেগুলো শিখনকালীন মূল্যায়ন হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে সেগুলো একক কাজ বা দলগত কাজ উভয়ই হতে পারে।

প্রশ্ন: সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা কিভাবে নিবে?

উত্তর: সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষাটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই পরীক্ষার উপর নির্ভর করেই শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের মূল্যায়ন করা হবে।
সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষাটি বছরে দুই বার নেয়া হবে (বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী)। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আগে যেমন আমরা অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা দিতাম ঠিক তেমনই।

প্রশ্ন: সামষ্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায় বা সামষ্টিক মূল্যায়ন ধরণ কেমন হবে?

উত্তর: মূলত সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক সিলেবাস ও নির্দেশনা পরীক্ষার আগেই দিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষাটি হবে একক কাজ ও দলগত কাজের মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে। সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক কিছু একক কাজ ও দলগত কাজ দেওয়া হবে। প্রতিটি দলকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ দেওয়া হবে এবং সে কাজের উপর ভিত্তি করেই মূল্যায়ন করা হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে একটি কাজ দেওয়া হলো- 
একক বা দলগত কাজ
তোমার এলাকায় সামাজিক মূল্যবোধের কি কি পরিবর্তন হয়েছে?
নির্দেশনা-
আগে ও পরে সামাজিক মূল্যবোধের ছক অনুযায়ী তুলনা করা।
কেন সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটে?
এই সম্পর্কে তোমার ব্যক্তিগত ধারণা কি?
তথ্য দানকারীর নাম ও স্বাক্ষর নেওয়া।
ঠিক এরকম বা তার কাছাকাছি মূল্যায়ন পরীক্ষাটা নেওয়া হবে। তবে অ্যাসাইনমেন্ট টি বাড়ির কাজ দিতে পারে এবং পরীক্ষার দিন উপস্থিত কোনো বিষয় থেকেও দিতে পারে। যা তোমাকে বা তোমাদের দলকে সম্পন্ন করতে হবে। আশা করছি তোমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছো।

প্রশ্ন: ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের গ্রেডিং সিস্টেম কি হবে?

উত্তর: না, হবে না। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলের নিয়মটি একটু ভিন্ন হবে।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
শিখনযোগ্যতাসমূহ মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পারদর্শিতার সূচক বা Performance Indicator (PI)
আচরণিক সূচক Behavioural Indicator
এই দুটি বিষয় বিবেচনা রেখেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এই মূল্যায়ন প্রকাশের ধাপ হলো ৩ টি।
১। □ চতুর্ভুজ (প্রাথমিক পর্যায়) 
২। 〇 বৃত্ত (মধ্যম পর্যায়)
৩। △ ত্রিভুজ (সর্বোত্তম পর্যায়)

যদি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কোনো রকম ভালো হয় তাহলে চতুর্ভুজ, যদি মোটামোটি ভালো হয় তাহলে বৃত্ত দেওয়া হবে এবং যদি পরীক্ষা অনেক ভালো হয় তাহলে ত্রিভুজ দেওয়া হবে।
আচরণিক সূচক Behavioural Indicator কি এবং তা কিভাবে মূল্যায়ন হবে?
উত্তর: বছর জুড়ে পুরো শিখন কার্যক্রম চলাকালে শিক্ষার্থীদের আচরণ, দলীয় কাজে অংশগ্রহণ, আগ্রহ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে এই সূচকসমূহে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। পারদর্শিতার সূচকের পাশাপাশি এই আচরণিক সূচকে অর্জনের মাত্রাও প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ষাণ্মাসিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশ হিসেবে যুক্ত থাকবে।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম, দলীয় কাজে অংশগ্রহন না করলে, অ্যাসাইনমেন্ট জমাধানে আগ্রহ হারালে এবং সবার সাথে সহযোগিতামূলক আচরণের মনোভাব না থাকলে মূল্যায়নে সেটার প্রভাব থাকবে।
কোন কোন আচরণিক সুচক গুলোর জন্য শিক্ষার্থীদের কিভাবে অর্জনের মাত্রা দেওয়া হবে সে সম্পর্কে এবার জানা যাক।

আচরণিক সূচক গুলো কি কি?


১. দলীয় কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে।
২. নিজের বক্তব্য ও মতামত দলের সবার সাথে শেয়ার করছে, এবং অন্যদের বক্তব্য শুনে গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
৩. নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজের ধাপসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করছে।
৪. শিখন অভিজ্ঞতাসমূহ চলাকালে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো সম্পন্ন করছে এবং বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় ছক/অনুশীলনী পুরণ করছে।
৫. পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করছে।
৬. দলীয় ও একক কাজের বিভিন্ন ধাপে সততার পরিচয় দিচ্ছে।
৭. নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যদের কাজে সহযোগিতা করছে এবং দলে সমন্বয় সাধন করছে।
৮. অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের মতামতের গঠনমূলক সমালোচনা করছে।
৯ দলের অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গঠনমূলক ফিডব্যাক দিচ্ছে।
১০. ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার, ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ, বৈচিত্র্যময়তা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

উপরোক্ত ১০ টি আচরণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে পালন করলে চতুর্ভুজ (প্রাথমিক পর্যায়ে) মূল্যায়ন হবে সেগুলো হল:

দলের কর্মপরিকল্পনায় বা সিদ্ধান্তগ্রহণে অংশ নিচ্ছে না, তবে নিজের মত করে কাজে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছে।

দলের আলোচনায় একেবারেই মতামত দিচ্ছে না অথবা অন্যদের কোন সুযোগ না দিয়ে নিজের মত চাপিয়ে দিতে চাইছে।

নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কিছু কিছু কাজের ধাপ অনুসরণ করছে কিন্তু ধাপগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারছে না। 

শিখন অভিজ্ঞতাসমূহ চলাকালে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো কদাচিৎ সম্পন্ন করছে তবে বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় ছক/অনুশীলনী পুরণ করেনি।

সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সকল ক্ষেত্রেই কাজ সম্পন্ন করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। 

কাজের বিভিন্ন ধাপে, যেমন- তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, কাজের প্রক্রিয়া বর্ণনায়, কাজের ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মনগড়া বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিচ্ছে এবং ব্যর্থতা লুকিয়ে রাখতে চাইছে।

এককভাবে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বটুকু পালন করতে চেষ্টা করছে তবে দলের অন্যদের সাথে সমন্বয় করছে না।

অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং নিজের দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিচ্ছে।

প্রয়োজনে দলের অন্যদের কাজের ফিডব্যাক দিচ্ছে। কিন্তু তা যৌক্তিক বা গঠনমূলক হচ্ছে না।

ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার, ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও নান্দনিকতার অভাব রয়েছে।

উপরোক্ত ১০ টি আচরণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে পালন করলে বৃত্ত (মধ্যম পর্যায়ে) মূল্যায়ন হবে সেগুলো হল:

দলের কর্মপরিকল্পনায় বা সিদ্ধান্তগ্রহণে যথাযথভাবে অংশগ্রহণ না করলেও দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নিজের দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করছে।

নিজের বক্তব্য বা মতামত কদাচিৎ প্রকাশ করলেও জোরালো যুক্তি দিতে পারছে না অথবা দলীয় আলোচনায় অন্যদের তুলনায় বেশি কথা বলছে। 

পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজের ধাপসমূহ অনুসরণ করছে কিন্তু যে নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে কাজটি পরিচালিত হচ্ছে তার সাথে অনুসৃত ধাপগুলোর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারছে না। 

শিখন অভিজ্ঞতাসমূহ চলাকালে গাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো আংশিকভাবে সম্পন্ন করছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় হুক/অনুশীলনী পুরণ করছে।

যথাসময়ে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কিছুক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। 

কাজের বিভিন্ন ধাপে, যেমন- তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, নিজের ও দলের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা, কাজের প্রক্রিয়া ও ফলাফল বর্ণনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে তবে এই বর্ণনায় নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। 

দলে নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দলের মধ্যে যারা ঘনিষ্ঠ শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।

অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে স্বীকার করছে এবং অন্যের যুক্তি ও মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

দলের অন্যদের কাজের গঠনমূলক ফিডব্যাক দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তা সবসময় বাস্তবসম্মত হচ্ছে না। 

ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে কিন্তু পরিমিতিবোধ ও নান্দনিকতা বজায় রাখতে পারছে না।


উপরোক্ত ১০ টি আচরণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে পালন করলে ত্রিভুজ (সর্বোত্তম পর্যায়ে) মূল্যায়ন হবে সেগুলো হল:


দলের সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে, সেই অনুযায়ী নিজের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছে।

নিজের যৌক্তিক বক্তব্য ও মতামত স্পষ্টভাষায় দলের সবার সাথে শেয়ার করছে, এবং অন্যদের যুক্তিপূর্ণ মতামত মেনে নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করছে। 

নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে কাজের ধাপসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করছে, প্রয়োজনে প্রক্রিয়া পরিমার্জন করছে।

শিখন অভিজ্ঞতাসমূহ চলাকালে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করছে এবং বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় ছক/অনুশীলনী পুরণ করছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করছে।

কাজের বিভিন্ন ধাপে, যেমন- তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, কাজের প্রক্রিয়া বর্ণনায়, নিজের ও দলের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনায়, কাজের ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছে।

নিজের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের পাশাপাশি অন্যদের কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে এবং দলীয় কাজে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছে।

অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছে।

দলের অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে যৌক্তিক, গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত ফিডব্যাক দিচ্ছে।

ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার, ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ, বৈচিত্র্যময়তা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

পারদর্শিতার সূচক বা Performance Indicator (PI) কি এবং তা কিভাবে মূল্যায়ন হবে?

উত্তর: প্রিয় শিক্ষার্থীরা, পারদর্শিতার সুচক এবং তার অর্জনের মাত্রা গুলো তোমাদের বিষয়ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন হবে। তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা বিষয়ভিত্তিক সিলেবাসের পোস্ট গুলোতে জানতে পারব।
আজ এই পর্যন্ত, সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।


মো: সুমন উল্লাহ খান 
সিনিয়র শিক্ষক 
গ্লোরী ফিউচার মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।



Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form