গুগল ড্রাইভ Free Download সুড়ঙ্গ | Surongo Bangla Movie 2022 in 480p, 720p HD Video
* প্রথম হাফ থেকে দ্বিতীয় হাফ বেটার। প্রথম হাফও ভালো। তবে প্রথম হাফের লাস্টদিকে একটু সময় কমালে পারত। আর এডাল্ট সিন যা আছে, ওটা খুব বেশি না। ১৪/১৫ বছরের বাচ্চাদের জন্য খুবই নর্মাল। তাছাড়া ঐ সিনগুলো আসলে খুবই দরকার ছিল। বিশেষ একটা চরিত্রের প্রতি যে ঘৃণা, ওটা ঐ সিনগুলো না দেখালে দর্শকদের মাঝে ঘৃণাটা ক্রিয়েট হতো না৷ সেক্ষেত্রে লাস্ট সিন এতোটা স্যাটিসফাইং ও লাগতো না৷
* প্রচুর কমেডি ছিল। থ্রিল ছিল। হলের সবাই হেসেছে৷ বিশেষ করে শহিদুজ্জামান সেলিম আর তমা মির্জার ডায়ালগগুলো। অনেক হিউমারাস। হ্যাটস অফ টু রাইটার৷
* অভিনয় সবার ই ভালো ছিল। নিশো একসময় নাটকে রিপিটেটিভ অভিনয় করত। সব ডায়ালগ বলত রেগে রেগে৷ এক কথা দুইবার রিপিট করত। সে পুরাই চেঞ্জ করেছে নিজেকে৷ যেখানে রাগার পরিস্থিতিতেও শান্ত মুখে যে অভিনয়টা করেছে৷ উফ! বাকি সবাইও যার যার জায়গা থেকে ভালো৷
* আর রায়হান রাফির ফ্যান হয়ে গেছি৷ এতোদিন বাংলা সিনেমার রিভিউ এ লিখা লাগতো, বাংলাদেশের সিনেমা হিসাবে ভালো। বাট এখন আর এটা বলা লাগতেছে না। সুড়ঙ্গ নেটফ্লিক্স এমাজনের যেকোনো সিনেমা লেভেলের কাজ হইছে।
চমৎকার গল্প , অবাক করা ফ্রেমিং ,নিশোর অসাধারণ অভিনয় , এবং মুভিটার ফুল ক্রেডিট দিবো রায়হান রাফি কে যেহেতু ফিল্ম ডিরেক্টর’স মিডিয়া,শুরুতেই বলছি ছবিটি আমি আমার ফুল ফ্যামিলি নিয়ে দেখেছি ,ওই রকম কোনো সিন্ নাই যা আছে তা না থাকলে মুভি কেনো এর থেকে সবার ঘরের নেটফ্লিক্স এ আরো বেশি থাকে , তাই প্লিজ কেউ মিথ্যা প্রচারণায় কান দিবেন না , রাফি কে ধন্যবাদ বাংলা সিনেমায় অসাধারণ একজন নায়ক কে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য , অনেকদিন পর একটা ভালো বাংলাদেশী বাংলা ছবি দেখলাম , জয় হোক বাংলা চলচিত্রের।।
রায়হান রাফী একটা ফর্মুলা ক্র্যাক করে ফেলেছেন বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার। এই কমার্শিয়াল সিনেমা এমন না যে হিন্দি মশলা সিনেমার মতো হবে। নায়কোচিত ব্যাপার থাকাটা ম্যান্ডাটরি না, বড় বড় অ্যাকশন সেট পিস থাকবে না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেমার মতো গল্পপ্রধান সিনেমাই হবে, কিন্তু হিউমার-কমেডি-পারপাস সব মিলিয়ে ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ খোঁজা দর্শক গোগ্রাসে গিলবে। এই ফর্মুলায় হিরোকে একটা ‘পারপাস’ দিতে হবে। যে পারপাসে দর্শক অনবোর্ড হবে, একটা প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ থাকবে যেটা পেলে দর্শক পরিপূর্ণভাবে তৃপ্তি লাভ করবে। এই ফর্মুলা ক্র্যাক করে পরান, পোড়ামন-২ এর মতো হিউজ হিট দিয়েছেন রাফী। কিন্তু আগের সিনেমাগুলোতে গল্প, ব্যাকস্টোরি, ক্যারেক্টারাইজেশন নিয়ে কথা বলার জায়গা থাকলেও ‘সুড়ঙ্গ’তে এসে নিজের ক্রাফটকে অনেকটাই নিখুঁত করে ফেলেছেন রাফী। তাই ‘সুড়ঙ্গ’কে নিঃসন্দেহে রায়হান রাফীর সেরা কাজ বলা যায়। টেকনিক্যাল দিকগুলো প্রায় নিখুঁত, অভিনয় চূড়ান্ত রকম ভালো, ডিরেকশন দুর্দান্ত- আর এতে করে ‘সুড়ঙ্গ’ হয়ে উঠেছে চরম এঙ্গেজিং ও এন্টারটেইনিং এক সিনেমা।
আফরান নিশোর সিনেমায় অভিষেক হল ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে। নাটকে, ওটিটি কন্টেন্টে তার এতো বছরের অভিজ্ঞতার পুরোটাই তিনি নিংড়ে দিয়েছেন এই সিনেমায়। ‘মাসুদ’ চরিত্রে তিনি দর্শককে হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, তার জন্য হাত তালি দিতে বাধ্য করিয়েছেন। সাদাসিধে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান কেন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে টাকা চুরি করতে বাধ্য হল- এই ব্যাপারটুকু নিশো তার ক্রাফট দিয়ে দারুণভাবে স্ট্যাবলিশ করেছেন সিনেমায়। নিশোর ফিজিক্যাল অ্যাক্টিং, ছোট ছোট এক্সপ্রেশন, ডায়লগ ডেলিভারি- সবকিছুই ছিল টপ নচ। ময়না চরিত্র অনেকটাই গ্রে শেডের। তমা মির্জা এই শেডটাকে প্রপারলি নিয়ে আসতে পেরেছেন সামনে। দারুণ ছিলেন মোস্তফা মনওয়ার, তাকে এরকম একটা চরিত্রে দেখা দারুণ মজার ছিল। তবে সবচেয়ে হাসিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। আঞ্চলিক ভাষায় তার ডায়লগ, তার দাদীর রেফারেন্স, ‘খামরুজ্জামান’ এর সাথে তার আলাপচারিতা- দর্শক অনেক বেশি ইঞ্জয় করেছে সিনেমাহলে।
সুড়ঙ্গের কি তাহলে সবই ভালো? খারাপ দিক নেই কোন? অবশ্যই আছে। রায়হান রাফী তার অনেকগুলো কন্টেন্ট ‘ফিমেল ব্যাশিং’ টোনে করে ফেলেছেন। এটা রিপিটেটিভ হয়ে যাচ্ছে। নিশোর প্রবাস জীবনের সিনগুলো ফেইক লাগছিল, হুট করে চোখে লাগছিল পেছনে সিজির কাজ। ‘কলিজা আর জান’ আইটেম গানটা না থাকলেও পারতো সিনেমায়। সিনেমার কোন শ্রী বৃদ্ধি হয় নি এই গান যুক্ত করায়।
‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে কথা বলতে হলে অবশ্যই তার টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কথা বলতে হবে। ‘সুড়ঙ্গ’ এমন একটা সিনেমা যেটি আসলে কেবল নিশো বা রাফীর সিনেমা না। এই সিনেমা নাজিম উদ দৌলার, এই সিনেমা সুমন সরকারের, এই সিনেমা আরাফাত মহসীনের, এই সিনেমা রিপন নাথের, এই সিনেমা শহিদুল ইসলামের। স্ক্রিপ্ট ও ডায়লগ দুর্দান্ত হয়েছে, কোন এক জায়গায় স্লো হয় নি সিনেমার গতি। মিউজিক, বিজিএম ছিল দারুণ। দুর্দান্ত আর্ট ডিরেকশন। গানগুলো প্রতিটাই সুন্দর, শ্রুতিমধুর। একটা সারপ্রাইজ ট্র্যাক আছে, যে গান আমাদের নস্টালজিয়ার অংশ। এই সিন হলে দেখলে দর্শক হাততালি দিতে বাধ্য। সুমন সরকারের সিনেম্যাটোগ্রাফি অনন্য। বিশেষ করে সুড়ঙ্গের ভেতরে হ্যান্ড হেল্ড ক্যামেরা দিয়ে একটা শট আছে- যেটি সত্যিকার অর্থে সুড়ঙ্গে নিয়ে যায় যেন দর্শককে। রায়হান রাফীর ডিরেকশন টপ নচ, সুন্দরভাবে গল্প সাজিয়েছেন, অভিনেতাদের কাছ থেকে অভিনয় আদায় করে নিয়েছেন।
সবশেষে, ‘সুড়ঙ্গ’ নিঃসন্দেহে রায়হান রাফী, আফরান নিশো ও গোটা টিমেরই অন্যতম সেরা কাজ। দিনশেষে পরানের মতো ব্লকবাস্টার না হলে সেটিই বরং হতাশার হবে। আফরান নিশোর দুর্দান্ত অভিষেক স্মরণীয় হবার সব উপকরণই আছে সুড়ঙ্গে। এই সুড়ঙ্গ শুধু টাকার সুড়ঙ্গ না, লোভ-প্রেম-কামেরও সুড়ঙ্গ। যে সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়লে নিস্তার নেই কারোরই।
আপনি গুগল এ গিয়ে (chorki24,com) লিখে সার্চ করুন এবং এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন
তারপর আপনি ওয়েবসাইট এ ডুকে ওয়েবসাইট এর সার্চ অপসন এ গিয়ে মুভি নাম লিখে সার্চ করুন.
তাহলে আপনি মুভি ডাউনলোড করতে পারবেন
Tags
Movie Review