কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১৩ | কুরুলুস ওসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১৩

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১৩ | কুরুলুস ওসমান সিজন ৪ ভলিউম ১১৩



পর্বের শুরুতে ইসমিহান সুলতান এর সোগুত ধ্বংসের চিত্র দেখতে পাই। চার পাশে শুধু আগুন জ্বলছে।সকল কিছু ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।ইসমিহান সুলতান এর আল্পরা ওসমান বের আল্পদের তীর নিক্ষেপ করতে থাকে। বাজারে ওসমান বে এবং আল্পরা দুইভাগে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়ে। শায়েখ এদেব আলী বন্দী হওয়ার সময়ে সুলতান মাসুদ কে একটি গোপন কক্ষে রেখে চলে যান। শায়েখ এদেব আলীকে খুবই নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। ইসমিহান সুলতান এবং ওসমান বের আল্পদের মধ্যে এই সংঘর্ষের সময় সুলতান মাসুদ ঘর থেকে বের হয়ে আসে৷

সৈন্যরা সুলতানকে দেখতে পেয়ে কাছে আসার চেষ্টা করলে ওসমান বের আল্পরা তাদের হত্যা করে।
গুরবুজ আল্পের সাথে সুলতান কে একটি নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। ইসমিহান সুলতান এর সকল সৈন্যদের হত্যা করার পরে কনুর আল্পকে উদ্ধার করতে যায়। কনুর আল্পকে ইসমিহান সুলতান বিছার ও সাপের বিষ দিয়ে একধরনের ছোয়াচে রোগ তার শরীরে তৈরি করে দেয়। কনুর আল্প প্রায় মৃত্যুের মতো হয়ে যায়। কুমরাল আবদাল সবাইকে নিষেধ করে তাকে ছুইতে৷ কারন এটা একটা ছোয়াচে রোগ । তাই সে দুর থেকে কনুর আল্প কে পরিক্ষা করে দেখে। কনুর কে বাচাতে কুমরাল আবদাল সকল ধরনের চেষ্টা শুরু করেন।

সম্পূর্ণ সোগুতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বালা হাতুন মালহুন হাতুন এক সাথে বসে ইসমিহান সুলতানের নানা রকম কাজের সমালোচনা করতে থাকে। এই সময় আলচেচিক এর সহযোগী আয়শা হাতুন শরবত নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে। আয়শা বালা হাতুন কে বলে যে ইসমিহান সুলতান এর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বার্তা এসেছে। শুধুমাত্র আপনাকে দেয়া হয়েছে। বালা হাতুন বার্তাটি পড়ে। ইসমিহান সুলতান শায়েখ এদেব আলীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বালা হাতুন কে মারমারাজিকে ডেকে পাঠান। বালা হাতুন বার্তা পেয়ে কাউকে না জানিয়ে মারমারাজিকের উদ্দেশ্য রওনা দেন।

বালা হাতুন একা দূ্র্গ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে আলাউদ্দিন বে কে হালিমার দায়িত্ব দিয়ে আসে। হালিমা বালা হাতুন এর ছোট কন্যা। বালা হাতুন চলে যাওয়াতে হালিমা খুব কান্নাকাটি করতে থাকে। এই সময়ে আলাউদ্দিন বে তাকে দোলনায় দোল দিতে থাকে৷ আলাউদ্দিন বে ও আবেগী হয়ে পড়ে। সে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করতে থাকে তার মা ও বাবার জন্য। আলাউদ্দিন বে হালিমা কে ওলগেন হাতুন এর কাছে রেখে বালা হাতুন এর খোজ নিতে মারমারাজিকের উদ্দেশ্য রওনা দিতে যায়। এই সময়ে আকতেমুর বে আলাউদ্দীন বে কে থামান। এবং তাকে বুঝিয়ে বলে যে “সে চলে গেলে হালিমাকে কে দেখবে”। তখন আলাউদ্দিন বে মারমারাজিকে না গিয়ে হালিমার কাছে ফিরে আসে।

মারমারাজিকে সুলতানা শায়েখ এদেব আলীকে বন্দী করে নিয়ে যায়। বালা হাতুন মারমারাজিকে গেলে তাকেও বন্দী করে রাখে। ওসমান বে শায়েখ এদেব আলী ও বালা হাতুন কে উদ্ধার করতে মারমারাজিকে গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয় না। তাকে সুলতান মাসুদকে নিয়ে আসতে বলা হয়৷


মারমারাজিকে প্রবেশের পর ওকতেম বে শায়েখ কে দেখে ইসমিহান সুলতান এর কাছে জানতে চায় কেন তাকে আনা হয়েছে।তখন ইসমিহান সুলতান বলে যে শায়েখ এদেব আলী তার বন্দী৷ কেউ তার অনুমতি ছাড়া দূ্র্গের বাহিরে যাবে না। সকল জায়গায় নিরাপত্তা বাড়াতে বলে। ওকতেম বে ইসমিহান সুলতান এর বিরুদ্ধে যেতে চায়।কিন্তু বেঙ্গী হাতুন এর কারনে সে যেতে পারে না। শায়েখ কে বন্দী দেখে ওকতেম বে খুবই মর্মাহত হয়।বেঙ্গী হাতুন ইসমিহান সুলতান এর ভয়ে সব সময় তার পক্ষে থাকে। সে ওসমান বের কোন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারে না। তাই সে আয়শাকে গুপ্তচর হিসাবে ইনেশিহারে রাখছে। আর সে সব সময় সকল খবর ইসমিহান সুলতান কে পৌছানোর কাজে ব্যস্ত থাকে।

ওসমান বে ইনেশিহারে ফিরে জানতে পারে সুলতান আলাউদ্দিন বিশাল একটা বাহিনী নিয়ে আসছে৷ তাই ওসমান বে তুরগুত বে কে ডেকে আনেন। তুরগুত বে কে সুলতান আলাউদ্দিন কে সোগুতে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন যেকোনো মূল্যে। কারন সুলতান আলাউদ্দিন এসে পড়লে ওসমান বেকে গ্রেফতার করবে। তাই সুলতানের মারমারাজিক দূর্গে পৌছানো যাতে বিলম্ব হয় সেই চেষ্টা করতে হবে। ওসমান বের আদেশে তুরগুত বে সুলতান কে বুঝিয়ে সোগুতে নিয়ে আসে।

সোগুতের লোকজন সুলতানের কাছে তাদের ভিতরে ছাড়িয়ে পড়া রোগ সম্পর্কে জানায়। সুলতান কোনিয়া থেকে হেকিম আনতে নির্দেশ দেন। সুলতান সোগুতে মালহুন হাতুন এর সাথে দেখা করেন। মালহুন হাতুন খুবই চতুরতার সাথে সুলতানের খাবারে চেতনা নাশক মিশিয়ে দেন৷ এতে সুলতান খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন৷ এবং ওসমান বের পরিকল্পনা কাজে দেয়।।

ওসমান বে ইসমিহান সুলতানের হাত থেকে শায়েখ ও বালা হাতুন কে উদ্ধার করতে গোপন সুড়ঙ্গপথ খনন করতে শুরু করে। কিন্তু ইসমিহান সুলতান একটি পাত্রে পানি রেখে সেটা ঝুলিয়ে দেয় যেন মাটিতে আঘাত করলে সেটা সে বুঝতে পারে। আর তাই ওসমান বে সুড়ঙ্গ পথে আসছে সেটা বুঝে ফেলে। যখন ওসমান বে সুড়ঙ্গ পথে দূ্র্গের প্রবেশ করে তখন ওলোফ শায়েখের গলায় ছুরি ধরে এবং ইসমিহান সুলতান বালা হাতুন এর গলায় ছুরি ধরে। ওসমান কে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেয় ইসমিহান সুলতান । সুলতান মাসুদ কে না নিয়ে আসলে শায়েখ এদেব আলী ও বালা হাতুন কে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হবে৷ একথা শুনার পরে ওসমান বে ও তার আল্পরা চলে যায়।

সর্বশেষ ওসমান বে সুলতান মাসুদ কে নিয়ে মারমারাজিকের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। মারমারাজিকে সে এবং সুলতান মাসুদ প্রবেশ করে। ইসমিহান সুলতান কে ওসমান বে বলে যে তুমি আমাকে চেয়েছিলে আমি এসেছি। তুমি সুলতান মাসুদ কে চেয়েছিলে সেও এখানে উপস্থিত। এখন শায়েখ ও বালা হাতুন কে ছেড়ে দাও৷ একথা শুনার পরে ইসমিহান সুলতান শায়েখ এদেব আলী ও বালা হাতুনের ফাসি কার্যকর করতে আদেশ দেন।তখন ওসমান বে হতবাক হয়ে যায়। আর এই দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে এই পর্বের সমাপ্তি হয়

Copy the below link and paste another browser👇👇👇

👉👉👉 https://ok.ru/video/4780423187018

https://archive.org/download/kurulus-osman-113.-bolum-atvturkiye/Kurulu%C5%9F%20Osman%20113.%20B%C3%B6l%C3%BCm%20@atvturkiye.mp4
 👈👈👈
_______________________________________________________________



Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form