Ershad Sikder, House, Political Party, Daughter, Wife

Ershad Sikder, House, Political Party, Daughter, Wife


আপনি কি জানেন কে এই রাক্ষস এরশাদ শিকদার কি তার পরিচয়?এই এরশাদ শিকদার ছিলেন একজন নামকরা খুনি,চোর এবং মেয়েদের প্রতি প্রচন্ড লালসা কারী পুরুষ।আপনি যদি এই রাক্ষস টির সম্বন্ধে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।এই আর্টিকেলটিতে আমরা রাক্ষসটির জীবনী এবং সমস্ত অন্ধকার জগতের সমস্ত দিকগুলি তুলে ধরেছি।

এরশাদ শিকদার হলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নামকরা কুখ্যাত খুনি,চোর এবং অন্ধকার জগতের এক সরদার।রক্ত নিয়ে খেলা যার ছিল প্রতিদিনের রুটিন।

তিনি যে শুধু একজন নামকরা খুনি ছিলেন তা নয় তিনি একজন দুশ্চরিত্র, চোর,বলতে গেলে একটি মানুষ খেকো রাক্ষস।যিনি 16 থেকে 30 টি খুন করেছেন।মানুষের বুকের ওপরে রাজ করা যার ছিল প্রতিদিনের কর্ম।চিনি রেললাইনের কাঠ,পাত এছাড়াও প্রচুর জিনিস চুরির কাজের সাথে যুক্ত।


রাজনৈতিক ক্ষমতা(Political power)

1988 খুলনার তৎকালীন 21নাম্বার বর্তমানে 8 নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার পদে যোগদান করলেন এরশাদ শিকদার।এতে তার সম্রাজ্য আরো ফুলে-ফেপে উঠতে লাগল।তিনি রেল এবং বিমানের জায়গা দখল করে গড়ে তুললেন বস্তি।এতে তৈরী করল ছোট ছোট বাড়ি সেগুলির মধ্যে অনেক মানুষের বসবাস বেড়ে গেল এবং কিছু কিছু মানুষ এরশাদ শিকদারের  খারাপ কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হতে লাগল।এই ভাবেই এরশাদ শিকদার তৈরি হলেন দক্ষিণাঞ্চলের অপরাধ জগতের এক আরেক নাম।

কিছু কিছু মানুষ এরশাদ শিকদারের এই সমস্ত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধাচারণ করত কিন্তু এরশাদ শিকদার সেই সমস্ত কিছু মানতে নারাজ যারা যারা এই সমস্ত বিরুদ্ধাচারণ করতো তাদের একটাই শাস্তি ছিল সেটি হল মৃত্যুদন্ড।


বিবাহ(Marriage)

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে এরশাদ শিকদারের 6টির বেশি বিবাহের কথা জানতে পারা গেছে.তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল খোদেজা বেগম।সংবাদমাধ্যমে  তার আরও একটি স্ত্রীর নাম জানা যায় যাকে তিনি তার বিলাসবহুল বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন।

এরশাদের প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর চারটি সন্তান,তিন পুত্র এবং একটি কন্যা।

এরশাদ শিকদারের ফাঁসি হওয়ার গল্প(The story of Ershad Shikder’s hanging)

এরশাদ শিকদারের বিরোধীদল একটি খুনের দায় হিসেবে এরশাদ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং পুলিশ এরশাদ শিকদার কে গ্রেপ্তার করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন।এরশাদ শিকদার তার ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর জন্য তিনি ভেবেছিলেন পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে দেবেন এবং তার ক্ষমতার প্রভাবে তিনি বেরিয়ে চলে আসবেন কিন্তু অবশেষে তা হলো না।তার সমস্ত অপরাধ এর বিচার অনুযায়ী এরশাদ শিকদারের ফাঁসি ঘোষণা করা হয়।

এরশাদ শিকদারের দল(Ershad Shikder’s team)
আস্তে আস্তে এরশাদের কাজের ধরন হয়ে উঠল আরো ভয়ানক।তিনি তার প্রথম দল গড়েন মাত্র 5 জনকে নিয়ে।সেই দলকে নিয়ে প্রথমে বিভিন্ন ডাকাতি চুরি এই সমস্ত কাজ গুলি করতে থাকলেন।

সময়ের সাথে সাথে দলের সংখ্যা বাড়তে থাকল সাথে সাথে বাড়তে থাকল কাজের উদাহরণ আস্তে আস্তে রেললাইনের কার্ড চুরি  ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করতেন।

এরশাদ তার দলগুলি নিয়ে নৌকো গুলি থেকে চাঁদা কাটতে শুরু করেন এবং ট্রলার গুলি থেকে গম চুরি করে করতে শুরু করেছিলেন।




Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form