গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় | জরায়ু চুলকানি দূর করার ক্রিম | প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কি করনীয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে Newsarticleinfo.Com এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা অনেক ভালো আছেন।
প্রিয় বন্ধুরা আজকের আমাদের এই পোস্ট টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট। এই পোস্টে থাকছে জরায়ু ও গোপনাঙ্গের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য। যেটা জেনে আপনাদের সবারই কমবেশি অনেক উপকার হবে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দরা আপনারা অনেকেই জানেন, আবার অনেকেই জানেন না এই যোনিতে/জরয়াুতে চুলকানি হলে যে করণীয় সব বিষয়গুলো৷ তাছাড়া যোনিতে/পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার উপায় ও ঔষধ আছে সেটাও আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো এই পোস্টের মাধ্যমে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই অনেক রকম ভাবে ইন্টারনেট সাহায্যে গোপনাঙ্গের চুলকানির ঔষধ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খোঁজাখুজি করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো যোনিতে/জরায়ু চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ঐষধ, গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়, প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কি করনীয়, এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আশা করি আমাদের পোস্টে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে আপনাদের অনেক উপকার করতে পারলাম।
যোনিতে চুলকানি হয় কেন
যৌনাঙ্গের চুলকানি বা ইচিং হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঈস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণ। সাধারণত Candida Albicans, এই ছত্রাকের কারণে যোনিতে চুলকানি হয়।এই ছত্রাক নরমালি মেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবী হিসেবে থাকে। কিছু ল্যাকলোব্যাসিলাস নামে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ছত্রাকের বংশবিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক খেলে, গর্ভাবস্থায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকলে, হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকলে ও খাদ্যাভাসের কারণে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, ফলে ঈস্টগুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকূল পরিবেশ পায়। এর কারণে যোনিতে ইনফেকশন হয়।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের সংক্রমণ যোনিতে চুলকানি হওয়ার অন্যতম কারণ। যোনিতে নরমালি কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। যখন কোন কারণে এই ব্যাকটেরিয়া গুলোর অনেক বেশি বংশবিস্তার ঘটে তখন যোনিতে ইনফেকশন হয়।
ট্রাইকোমোনিয়াসিস-এর আক্রমণে যোনিতে চুলকানি হয়।
এছাড়াও যৌনাঙ্গে উকুন, খোসপাচড়া ও মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়াম এর সংক্রমণ হলে যোনিতে চুলকানি হয়।
কিছু সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ যেমন – সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি হতে পারে।
যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আর্দ্র রাখলে কিংবা অপরিষ্কার থাকলে যোনিতে চুলকানি হয়ে থাকে।
যোনিতে/জরায়ু চুলকানি দূর করার ক্রিম
★বেশি চুলকানি হলে Lidocaine নামক জেল আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম হবে। কিন্তু পুরা সেরে যাবেনা। তাই ডাক্তারকে দেখাবেন।
★এছাড়া প্রদাহ কমাতে steroid cream ব্যবহার করা যেতে পারে।
★মেনোপোজের পর চুলকানি হলে ইস্ট্রোজেন সাপোজেটরি যোনিপথে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যোনিতে / জরায়ু চুলকানি দূর করার ঔষধ
★ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে এন্টিব্যায়োটিক ড্রাগস খেতে হয়। যে এন্টিবায়োটিকই খান না কেন তা কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ দিন খাবেন।
★প্যারাসাইটের সংক্রমণ হলে Metronidazole খেতে পারেন। এছাড়াও vaginal clindamycin cream (clencin) or tinidazole এইগুলো যোনিতে লাগাতে হয়।
★চুলকানি কমানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন যেমন – fexofenadine, loratadine খেতে পারেন।
★ছত্রাকের সংক্রমণ হলে, এন্টিফাংগাল ওষুধ যেমন – ketoconazole, miconazole, clotrimazole, tioconazole, fluconazole ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয় ৩ থেকে ৫ দিন।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
★বেকিং সোডা দিয়ে গোসল— ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারনে চুলকানি হলে এবং তার পাশাপাশি আরো কিছু চুলকানির ক্ষেত্রে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী।
★নারিকেল তেলের ব্যবহার — ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে শরীর ও গোপনাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যাবহার করা যেতে পারে। এটি চুলকানি দূরীকরণে বেশ কার্যকরী।
★প্রোবায়োটিক খাবার— প্রোবায়োটিক খাবারগুলো ত্বকের ছত্রাকের ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী। প্রোবায়োটিক খাবারগুলো হলো- দই, কম্বুচা, কিচমিচ।
★রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
★ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন।
★একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করুন।
গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
★সীডার ভিনিগার — গরম জলের সাথে ২ টেবিল চামচ সীডার ভিনিগার মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। পুরুষদের যৌনাঙ্গের চুলকানি থেকে নিস্তার পেতে সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণের ব্যবহার করতে হবে।
★ঠান্ডা ঠান্ডা বরফ — চুলকানি থেকে তাৎক্ষনিক রেহাই এর জন্য বরফ বা বরফ-ঠান্ডা জলের সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা যখন এই চুলকানির তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকারী।
★টাবের জলে তুলসী পাতা দিন। আধা ঘন্টা পরে নিজেকে ওই জলে ভিজিয়ে নিন। তুলসীপাতায় উপস্থিত বৈশিষ্ঠগুলি, ক্রমবর্ধনশীল ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়ে। এই যৌনাঙ্গে চুলকানির প্রতিকারটি, নারী পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কি করনীয়
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো মেনে চললে প্রস্রাবের চুলকানি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ সেবন বা ব্যবহার করবেন না।
Tags
Health Tips