কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮ | কুরুলুস ওসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮ | কুরুলুস ওসমান সিজন ৪ ভলিউম ১০৮




কুরুলুস উসমান ভলিউম-১০৫ যেখানে শেষ হয়েছিল,১০৬ তার একদিন পর শুরু করেছে পরিচালক।

উসমান বে-র পরামর্শ সভাঃ ১০৫ ভলিউম যেখানে শেষ হয়েছিল,ঠিক তার একদিন পর থেকে ১০৬ ভলিউম শুরু হয়। শুরুতে দেখা যায় উসমান বে তার পরিবারের সদস্য নিয়ে পরামর্শ বৈঠক করেন,কোব্রি দূর্গ বিজয়ে কার কি কাজ হতে পারে তা বলছিলেন। বালা হাতুন উসমান বের সাথে যুদ্ধ করবেন, অপরদিকে মালহুন হাতুন সেলজুকদের কাছে আনুগত্য দেখাবেন।সবাই যার যার কাজে বের হয়ে পড়লেন। Watch Kurulus Osman Episode 107 Bangla Subtitles


উসমান বে-র সদরদপ্তরঃ উসমান বে মারমারাজিক দূর্গ বিজয়ের পর উসমানীয়দের জন্য নতুন দূর্গ বিজয়ে উদ্যমী হয়ে উঠেন,তিনি দেখলেন এবং ইচ্ছে করলেন কোব্রি দূর্গ বিজয় করবেন,এখন কোব্রি দূর্গ বিজয় করতে উঁচু উঁচু দেয়াল টপকাতে হবে। এখন অন্য কোন উপায় নেই,তখন উসমান বে একটা সদরদপ্তর নির্মাণ করেন,যেখান থেকে ডাইরেক্ট দূর্গে গুলতি দিয়ে আক্রমণ করে দূর্গের দেয়াল ভেঙে দূর্গে প্রবেশ করে দূর্গ জয় করবেন।

মানজেনিক (গুলতি) তৈরীঃ আমরা সবাই জানি যে,ইনেগুল বিজয়ের সময় রাখাল আকচা এবং কামার দাউদ উস্তা মিলে কত গুলো গুলতি ছিল,যেগুলো গুন্দুজ বে-র নেতৃত্ব ব্যবহৃত হয়েছিল,এগুলো এতদিন ইনেগুলেই ছিল।
এখন তুরগুত বে মারমারাজিক দূর্গের দায়িত্ব না পেয়ে সেই পুরনো দূর্গে গিয়ে অবস্থান নেন।
এখন কনুর আল্প গুলতির জন্য গেলে তুরগুত বে জানিয়ে দেন তিনি গুলতি দিবেন না,সেগুলো ব্যবহার তার অধিকার। নতুন কোন গুলতি তৈরীর প্রয়োজন হয়নি।

কান্তাকুজানুসের সাথে ইসমিহান সুলতানার চুক্তিঃ উসমান বের বন্দী করা কান্তাকুজেনুসকে মুক্তি করে দেওয়ার মাধ্যমে ইসমিহান সুলতানা তার কাছে সহযোগিতা চেয়েছে উসমানের বিরুদ্ধে, উসমানকে শেষ করতে একে অপরকে সহযোগীতা করবেন।

উসমান বে-র আল্প সারোজার শহীদ হওয়াঃ উসমান বে ইসমিহান সুলতানার পিছনে সারোজা আল্পকে পাঠিয়েছিলেন,সেই আল্প ইসমিহান সুলতানা আর কান্তাকুজেনুসের চুক্তি দেখে ফেলেন, একপর্যায়ে সে ইসমিহান সুলতানার সৈন্যদের নজরে পড়ে,তখন ওই সারোজা আল্পকে ইসমিহান সুলতানা নৃশংস ভাবে হত্যা করেন।মুনাফেকরা তাদের স্বার্থ হাসিলে নিজের লোককে বলি দিতে দ্বিধা করত না। Watch Kurulus Osman Episode 107 Bangla Subtitles

তুরগুত বে-কে ইসমিহান সুলতানার প্ররোচনাঃ ইসমিহান সুলতানা চেষ্টা করেন যে,উসমান বের আল্প এবং তার বে-দের কে পৃথক করতে,তবে তিনি প্রথমে সফল না হলে পরবর্তী আমরা দেখতে পাই,ইসমিহান সুলতানা সে সফল,তুরগুত বেকে তার দলে নিতে পেরেছেন। এ জায়গায় মনে হচ্ছে এটা একটা বর পরিকল্পনা,উসমান বে সাজিয়েছেন। তুরগুত বেকে বিশ্বাসঘাতক দেখিয়ে দূর্গ বিজয়ে এগিয়ে যাবেন। Watch Kurulus Osman Episode 107 Bangla Subtitles

ফ্রীগ আর ইসমিহান সুলতানার চুক্তিঃ বাইন্দার বে জেনে গিয়েছিলেন যে,মার্তা মূলত ফ্রীগ।
এই খবর টা বাইন্দার ইসমিহান সুলতানাকে জানালে ইসমিহান সুলতানা মার্তাকে তার দিকে টেনে নিয়ে আসেন এবং এই ঘটনা মালহুন হাতুন দেখে ফেলেন। এর মাধ্যমে মার্তা আরও বেশি সন্দেহের মধ্যে চলে আসেন।

আকতেমুর এবং আল-চিচেকের প্রেমঃ তাদের দুজনের প্রেমটা জমে উঠল তার মধ্যেই ভিলেন হয়ে সামনে আসল বাইন্দার। সে কূটনামি করে আল-চিচেককে তার হাতুন বানানোর জন্য প্রস্তাব দিল আল-চিচেকের মা বিঙ্গি হাতুনের কাছে, তিনি প্রথমে সাই দেইনি। জমে উঠা প্রেমটা নিমিষেই শেষ হতে শুরু হল।আল-চিচেক এই খবর আকতেমুরকে জানালে আকতেমুর তার চাচার কাছে বলেন।তার চাচা উসমান বে ওকতেম বের কাছে খবর পাঠান।

বাইন্দার বে কর্তৃক আল-চিচেককে বিয়ের প্রস্তাবঃ বাইন্দার বে জানেন যে,সে একা গেলে ওকতেম বে জীবনেও তার মেয়েকে তাঁকে বিয়ে দিবে না,তাই সে পরিকল্পনা করে ইসমিহান সুলতানাকে সাথে করে নিয়ে যান তার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য ওকতেম বের কাছে,সুলতানা জোরাজোরিতে ওকতেম বে রাজি হয়ে উসমান বেকে না করে দেন। উসমান বে এক পর্যায়ে মুখ মলিন করে চলে আসেন। তবে তিনি তার ভাতিজাকে আশা রাখতে বললেন।

বাইন্দার বে-র বিশ্বাসঘাতকতাঃ আকতেমুর এবং আল-চিচেকের পিছনে ছুটতে গিয়ে সে সদরদপ্তরের অবস্থান জেনে যায়,সে তাৎক্ষণিক ওলোফের কাছে খবর পাঠাই, এটা স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা,বাইন্দার বে এখন প্রকাশ পেলে অবশ্যই তাকে হত্যা করা হবে।

ইসমিহান সুলতানা কর্তৃক শায়খ এদেব আলীকে দাওয়াত দেওয়াঃ ইসমিহান সুলতানা শায়খকে দাওয়াত দেন সোগুতে, শায়খ এদেব আলী তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সোগুতে যান,ইসমিহান সুলতানাকে শায়খ উপদেশ দিতে গিয়ে মুনাফেক সম্পর্কে বলেন।মুনাফেকরা ইসলামের কি ক্ষতি করেছে সব কিছু বলেন। মুনাফেকদের জন্য রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বদ দোয়ার কথা বলেন,ইসমিহান সুলতানাকে দেখে মনে হচ্ছিল,সব কথা তার উপর দিয়েই যাচ্ছে। Watch Kurulus Osman Episode 107 Bangla Subtitles

ওলোফ কর্তৃক সদরদপ্তর আক্রমণঃ ওলোফ এবং তার সেনাবাহিনী উসমান বের ঘাঁটি আক্রমণ করেন,আমরা প্রায় দেখেছি,যুগে যুগে বিশ্বাসঘাতক মুনাফেকদের কারণে মুসলমানরা বড় বিপর্যয়ের মুখ পতিত হয়েছেন,যেমন দিরিলিসে ১০৪ ভলিউমে আর্তগ্রুলের গুলতি ধ্বংস করেছিলেন ওরাল বে.

সাথে দিরিলিসের সবার প্রিয় ব্যক্তি সামসা আল্পকে হারাতে হয়েছিল। আমার মনে হচ্ছে এখানেও এমন প্রিয় কাউকে হারাতে যাচ্ছি, তবে সেই প্রিয় ব্যক্তিটা কে? এবং বালা হাতুনকে রক্ষা করবে কে? সম্ভবত কোন প্রিয় চরিত্র এন্টি নিতে পারেন,যেমন কোসেস,বা ঐতিহাসিক কোন চরিত্র।উসমান বে-র এত কষ্ট সাধনা নিমিষেই শেষ করে দিল ওলোফ তার বাহিনী। গুন্দুজ এবং দাউদ উস্তার রেখে যাওয়া শেষ সৃতি টুকু শেষ করে ওলোফ ও তার বাহিনী।

ইসমিহান সুলতানা কর্তৃক বে-গনের আমন্ত্রণঃ ইসমিহান সুলতানা সীমান্ত এলাকার সকল বীমদের দাওয়াত দেন,উসমান বে-কে সপরিবারে দাওয়াত দেন। উসমান বে দাওয়াতে উপস্থিত হয়ে সেলজুকদের প্রতি আনুগত্য দেখালেন,কথাবার্তা হচ্ছিল ঠিকঠাক,একপর্যায়ে ইসমিহান সুলতানার একজন সৈন্য এসে খবর দেন যে সদরদপ্তরে আক্রমণ করে ওলোফ,পরিস্থিতি খুব খারাপ…সে অবস্থায় ইসমিহান সুলতানা উসমানকে সান্ত্বনা দেওয়ার বদলে আরো জিজ্ঞেস করেন,উসমান বে তুমি কে? সদরদপ্তর নির্মাণ করার? তখন উসমান বে উত্তর দিলেন,সদরদপ্তর আমার,এবং এখানে শাসনও আমার,কখন কি করব তা আমার ব্যাপার।


Coming Soon



Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form