ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ | খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির ঔষধের নাম | খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির উপায়
আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্ধ সবাই কেমন আছেন? আসা করি সবাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে ভালো আছেন। বন্ধুরা আমাদের বেশিভাগ মানুষের খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না। যার জন্য অনেকে কিভাবে মুখের রুচি বারানো যায় খুজে থাকেন। তাই আজকে আমরা তোমাদের খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির ঔষধের নাম -খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির উপায় - খাওয়ার রুচির ট্যাবলেট শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আসা করি তোমাদের উপকারে আসবে।
বন্ধুরা আপনার যদি খাবারের রুচি না থাকে তাহলে আপনি প্রথমে স্বাভাবিক কিছু নিয়ম মেনে চলে দেখতে পারেন। যদি এই নিয়মে কাজ হয়ে যায় তাহলে আর ঐষদ গ্রহন করবেন না।
খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির উপায়
- রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান
- সকালে খুব ভুরে ঘুম থেকে উঠেন
- নিয়মিত সকাল সন্ধায় ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাবার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে।
- প্রতিদিন সকালে কিসমিস খান পানিতে রাতে ভিজিয়ে
- প্রতিদিন সকালে ছোলা বোট খেতে পারেন।
- প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমাবেন সঠিক টাইমে ঘুম থেকে জাগবেন।
- বিশেষ করে কোনো প্রকার নেশা করবেন না। ধুমপানের নেশা থাকলে আজকেই তা পরিত্যাগ করুন।
- কোনো প্রকার টেনশন মানসিক চাপ নিবেন না। প্রাতিদিন সকালে লেবু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
- প্রতিদিন সকালে, রাতে বা প্রতি বেলা খাবার খাওয়ার পূর্বে কাচাঁ আদা চিবিয়ে খাবেন।
- বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থাকলে গ্যাস্ট্রিক এর টেবলেট খান।
খাওয়ার রুচি বৃদ্ধির ঔষধের নাম
- Vave 10mg- খাওয়ার ৩০ থেকে ১৫ মিনিট আগে দিনে ৩ বার থেকে হবে।
- Deflux 10mg -খাওয়ার আগে দিন তিনবার।
- Rabe 20Mg -খাওয়ার 30 মিনিট আগে দিন দুইবার।
- মুখে রুচির সিরাপ
- Bicozin -সিরাপ দুই চা চামুচ করে দিন দুইবার খাওয়ার পরে খাবেন।
- সিংগারা সিরাপ খেতে পারেন।
- megestrol সিরাপ খেতে পারেন -দিনে ২ বার ২ চামচ করে -মুল্য ৫০০ টাকা।
উপরে উল্লেখিত ঐষদ এর যে কোন একটি খেতে পারেন। তাহলে আসা করি খাবারের রুচি বাড়বে।
ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ
ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতীত কোন ঔষধ খাওয়ানো ঠিক হবে না। তবে এখানে কয়েকটি উপায় আছে যা আপনাকে আপনার সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
১. বাধ্যতামূলক ব্রেকফাস্ট
এটা ভালোভাবে জানা আছে যে ব্রেকফাস্টটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ব্রেকফাস্ট পাচনক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং দিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। আপনার সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্যে একটি সুস্থ ব্রেকফাস্ট সীমানা নিশ্চিত করুন।
২. প্রতি দুই ঘন্টা সময় খাবার দিন
ক্রমবর্ধমান বয়সগুলিতে শিশুদের উচ্চমাত্রার বিপাক থাকে। একদিন তিনবার খাবার তাদের ক্ষুধা অনুভব করতে তাদের পাচনতন্ত্রকে বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাদেরপ্রতি দুই ঘন্টা ছাড়া নিয়মিত খাবার দেওয়া উচিত; এটা তাদের ক্ষুধা উন্নতি করে।
৩. খাবার আধা ঘন্টা আগে জল পান করান
খাবার দেবার ৩০ মিনিট আগে জল পান করলে সেটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে। সকালেও ঘুম থেকে ওঠার পর একই জিনিসটি বজায় রাখুন কারণ তাতে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্যে জলযোজিত থাকে। এই মূল নীতিগুলি স্পষ্ট ভাবে শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৪. মাঝে মাঝে কিছু স্ন্যাক্স দিন
আপনার সন্তানের যদি ভাল ক্ষুধা চান তাহলে মাঝে মাঝে বেশ কিছুটা পরিমানে ভারী স্ন্যাক্স খাওয়ান। চিপস বা কুকিসের পরিবর্তে একটি স্যান্ডউইচ বা একটি কুকি দিন। কোন স্ন্যাক্স তা স্বাদে ও পুষ্টিতে সবচেয়ে ভাল সেটি চিন্তা করুন।
৫. খাবার হিসাবে দুধ খাওয়াবেন না
যদিও বলা হয় যে দুধ একটি সম্পূর্ণ খাবার, এটি একটি খাবার হিসাবে পরিবেশন করা উচিত নয়। দুধের অতিরিক্ত, যখন এপেটাইসার হিসাবে খাওয়া হলে সেটি পরবর্তী খাবারের জন্য ক্ষুধা হ্রাস করে। দুধের পরিবর্তে পনির বা দইয়ের মতো অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন।
৬. মটর বা বাদাম খাওয়ান
মটর খাদ্য উত্সাহী বৈশিষ্টের জন্য পরিচিত। এমনি মাখন না খাইয়ে পিনাট মাখন খাওয়ান। ভাজা মটর ও খাওয়াতে পারেন যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে.
৭. খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন
এটি একটি সুপরিচিত সত্য যে শারীরিক পরিশ্রম ক্ষুধা তৈরি করে। আরো খুদা বাড়াতে বেশি বেশি খেলতে দিন শিশুকে।
৮. আপনার সন্তানের শরীর ও মাথা ঠান্ডা রাখুন
উষ্ণ তাপমাত্রা একজন শিশুর ক্ষুধা হ্রাস করে আর এই কারণেই আমরা শীতকালে কোন সমস্যা ছাড়া আরো বেশি খেতে সক্ষম হই। কিন্তু একই পরিমাণ খাবার গ্রীষ্মে খাওয়া অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। আপনার শিশুর খাবার পরিবেশটি বায়বীয় রাখুন, এবং আপনি আপনার সন্তানের ক্ষুধা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
৯. জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান
উল্লিখিত হিসাবে,জিঙ্কের অভাব ক্ষুধা ক্ষতির জন্য দায়ী, তাই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান। কাজু বাদাম, গম, কুমড়া ইত্যাদি জিংক সমৃদ্ধ। এর জন্যে আপনি ডাক্তারের সাথেও পরামর্শ করতে পারেন।
১০. বাচ্চাকে তার প্রিয় খাবারটি মাঝে মাঝে খেতে দিন
খাবারের ব্যাপারে শিশুরা মেজাজ দেখতে পারে। তারা এমন কিছু খেতে পারবে না যা তারা পছন্দ করে না তা যতই পুষ্টিকর হোক না কেন। সুতরাং, একটি সুস্থ ক্ষুধা তৈরি করার জন্য, তাদের প্রিয় খাবারের আইটেমগুলি রাখুন। এগুলি তাদের খাওয়ার দিকে আকৃষ্ট করবে।
Tags
Health Tips