(২০২২) রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজা মাকরুহ কারণ কি কি | রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

(২০২২) রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজা মাকরুহ কারণ কি কি | রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি



আজকে আমরা এই পোস্টে কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়,সাওম ভঙ্গের কারণ কয়টি এবং রোজা সম্পর্কে গুরুুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর শেয়ার করবো।

  • কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায় | সাওম ভঙ্গের কারণ কয়টি
  • যখন কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব 
  • রোজা ভাঙ্গার কারন/অনুমতি কি কি
  • রোজা মকরুহ কারন কি কি | যে সব কারনে রোজা মকরুহ হয়
  • রোজা না ভঙ্গের কারণ
  • রোজা ভঙ্গের কারণ স্বপ্নদোষ
  • হাত কেটে রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে
  • রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করা যাবে কি না

কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায় | সাওম ভঙ্গের কারণ কয়টি

রোজা ভঙ্গের কারন : যে সব কারনে রোজা ভেঙ্গে যায় নিচে রোজা ভঙ্গের কারনগুলো দেওয়া হলো। 

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:

  • ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
  • স্ত্রী সহবাস করলে ।
  • কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
  •  ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
  •  নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
  •  জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
  • ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
  • কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
  •  সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
  •  পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
  •  দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
  • ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
  • মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
  • রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
  •  মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
  • যখন কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব 
  •  ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনাে জিনিস খাওয়া বা পান করা , যা সাধারণত খাওয়া বা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ( আলমগিরি : খ , ১ , পৃ . ২০৫ ) 
  •  যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গিবত করার পর পানাহার করে , তাহলে তার ওপর কাজা - কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব । ( ফাতহুল কাদির : খ . ২ , পৃ . ৩৮০ ) 
  •  রােজাদার যদি সমকামিতায় লিপ্ত হয় , তাহলে তার ওপর কাজা - কাফফারা দুটিই ওয়াজিব । ( আল ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ . ১ , পৃ . ২২৩ ) 
  • পুরুষ যদি মহিলার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে সম্ভোগ করে , তাহলে মহিলার ওপর শুধু কাজা ওয়াজিব , কাফফারা নয় । আর পুরুষের ওপর কাজা - কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব । ( আল - ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ . ১ , পৃ . ২২৪ ) 
  • ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীসম্ভোগ করা । ( বুখারি , হাদিস : ১৮০১ ) 

রোজা ভাঙ্গার কারন/অনুমতি কি কি


  • যদি এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে রােজা রাখার শক্তি নেই বা রােজা রাখার দ্বারা অসুস্থতা বেড়ে যাবে , তাহলে তার জন্য রােজা না রাখার অনুমতি রয়েছে । তবে হ্যাঁ , যখনই সুস্থ হয়ে যাবে , তখনই তার ওপর রােজা কাজা করে নেওয়া ওয়াজিব । ( আপকে মাসায়েল : খ . ৩ , পৃ . ২০২ ) 
  • যে ব্যক্তি এমন দুর্বল হয়ে যায় যে রােজা রাখার শক্তি নেই । ( আপকে মাসায়েল : খ . ৩ , পৃ . ২০৩ ) 
  •  এমন ক্ষুধা বা পিপাসা লাগে যে প্রাণ চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায় । ( আলমগিরি : খ . ১ , পৃ . ২০৭ ) 
  •  গর্ভধারিণী বা স্তন্যদানকারিণী মহিলা যদি নিজের অথবা নিজের বাচ্চার প্রাণপাতের আশঙ্কা করেন , তাহলে তাঁর জন্য রােজা ভেঙে ফেলা জায়েজ আছে । ( আলমগিরি : খ . ১ , পৃ . ২০৭ ) 
  •  রােজা থাকার কারণে যদি জীবনযাপনের সামগ্রী উপার্জন করতে দুর্বল হয়ে যায় , তাহলে তার জন্য রােজা ভেঙে ফেলার অনুমতি রয়েছে । তবে তা পরে কাজা করে নিতে হবে । তা - ও সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে এবং প্রতি রােজার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ দান করে ফিদিয়া আদায় করবে । ( শামি : খ . ৩ , পৃ . ৪০০ )
  • অনুরূপভাবে ফসল কর্তন করার ক্ষেত্রে । যদি রােজা থাকা অবস্থায় ফসল কর্তন করা সম্ভব না হয় । অন্যদিকে দেরি হলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে । তাহলে রােজা না রাখার অনুমতি আছে এবং অন্য সময় কাজা করে নেবে । ( শামি : খ . ৩ , পৃ . ৪০০)
  • রোজা মকরুহ কারন কি কি | যে সব কারনে রোজা মকরুহ হয়
  • ১. ক) মিথ্যা বলা। (খ) মিথ্যা সাক্ষি দেওয়া। (গ) গিবত করা বা দোষচর্চায় লিপ্ত থাকা। (ঘ) মিথ্যা কছম করা। (ঙ) অশ্লীল কথা বলা বা অশ্লীল কাজ করা। (চ) জুলুম করা। (ছ) কারো সঙ্গে শত্রুতা রাখা। (জ) পরনারীর প্রতি দৃষ্টি করা, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করা। (ঝ) সিনেমা দেখা—সবই নাজায়েজ। উপরোক্ত কাজ ছাড়া সব গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি। এসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না, তবে মাকরুহ হয়। অবশ্য সওয়াব কম হয়। (জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : খ. ১, পৃ. ২২; জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৯; বুখারি, হাদিস নম্বর ১৯০৩)

২. কোনোরূপ অপারগতা ছাড়াই কোনো বস্তু আস্বাদন করা বা চর্বণ করা। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৯৫)

৩. অনন্যোপায় ছাড়াই কোনো কিছু চর্বণ করে শিশুর মুখে দেওয়া। (ফাতহুল কাদির : খ. ২, পৃ. ৩৪৯)

৪. একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেনাবেচার সময় মধু কিংবা তেলের স্বাদ আস্বাদন করা। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১৯৯)

৫. সঙ্গম বা বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীকে চুমু দেওয়া। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০০)

৬. মুখে অধিক পরিমাণ থুতু একত্র করে গিলে ফেলা। (বিনায়াহ : খ. ৪, পৃ. ২৯৪)

৭. বেশি ক্ষুধা বা পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করা। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)

৮. মাজন, কয়লা, গুল, টুথপেস্ট ব্যবহার করা। (জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৯)

৯. অহংকারের জন্য সুরমা লাগানো বা গোঁফে তেল লাগানো। (আলমগিরি)

১০. পায়খানার রাস্তায় পানি দ্বারা এত বেশি ধৌত করা যে ভেতরে পানি চলে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১১৯)

১১. ক্ষতির আশঙ্কা হলে শ্রমিকের জন্য মালিকের অনুমতি ছাড়া রোজা রাখা।

১২. প্রয়োজন ছাড়া ডাক্তারের মাধ্যমে দাঁত তোলা মাকরুহ। তাতে যদি রক্ত বা দাঁতে লাগানো ওষুধ পেটে চলে যায়, যা থুতুর সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : খ. ৪, পৃ. ৪২৬)

১৩. এমন কোনো কর্ম করা, যা শরীরকে দুর্বলতার দিকে নিয়ে যায়, তা মাকরুহ। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)

১৪. রোজাদারের জন্য অজু ছাড়া কুলি করা মাকরুহ। (আল-ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ. ১, পৃ. ২২৭)


রোজা না ভঙ্গের কারণ:

১. ভুলে খানাপিনা বা স্ত্রীসম্ভোগ করা (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৫)

২. যদি ওই ভুলকারী লোকের রোজা রাখার শক্তি থাকে, তাহলে তাকে রোজার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। আর যদি রোজা রাখার শক্তি না থাকে, তাহলে স্মরণ না করে দেওয়া উত্তম। (আল-ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ. ১, পৃ. ২০২)

৩. অনিচ্ছায় গলার মধ্যে ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা-মাছি চলে যাওয়া। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৬)

৪. তেল, সুরমা, শিঙা লাগালে যদি গলায় তার স্বাদ পাওয়া যায়। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৬)

৫. স্বপ্নদোষ হওয়া। (তিরমিজি : হাদিস ৭১৯)

৬. যেকোনো সময় মেসওয়াক করা, কাঁচা হোক কিংবা শুষ্ক হোক। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১৯৯)

৭. কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর ফলে কোনো ময়লা বের হলে তারপর ময়লাযুক্ত কাঠি বারবার কানে প্রবেশ করালে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৭)

৮. চানা বুটের চেয়ে ছোট দাঁতের ফাঁকে আটকে যাওয়া কোনো জিনিস খেলে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৭)

৯. দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে যদি হলক্বে চলে যায়। যদি থুথুর পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৮)

১০. শরীর, মাথা, দাড়ি-গোঁফে তেল লাগালে। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১৯৯)

১১. ফুল বা মৃগনাভির ঘ্রাণ নিলে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৯৯)

১২. ইচ্ছাকৃতভাবে নাকের শ্লেষ্মা মুখের ভেতর নিয়ে নিলে। (বিনায়া : খ. ৪, পৃ. ২৯৪)

১৩ মুখের থুথু গিলে ফেলা। (নাওয়াজিল : পৃ. ১৫০)

১৪. তিল পরিমাণ কোনো জিনিস বাইরে থেকে মুখে নিয়ে অস্তিত্বহীন করে দেওয়া ও গলায় তার কোনো স্বাদ অনুভব না হলে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৯৪)

১৫. কপালের ঘাম কিংবা চোখের দু-এক ফোঁটা অশ্রু কণ্ঠনালিতে পৌঁছে গেলে। রোজা ভাঙে না। (বিনায়া : খ. ৪, পৃ. ২৯৪)

১৬. রোজা শুরু হওয়ার আগেই যদি লজ্জাস্থানে কোনো ওষুধ রাখা হয়। তাহলে রোজা ভাঙা যাবে। (রহিমিয়া : খ. ৪, পৃ. ২৯৪)

১৭. যেকোনো ধরনের ইনজেকশন বা টিকা লাগানো। তবে এমন ইনজেকশন বা টিকা লাগানো মাকরুহ, যেগুলো দ্বারা রোজার কষ্ট বা দুর্বলতা দূরীভূত হয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৯)

১৮. ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করা হলে রোজা নষ্ট হবে না। আর দুর্বলতার আশঙ্কা না থাকলে মাকরুহও হবে না।

১৯. পান খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করা সত্ত্বেও যদি থুথুতে লালাভাব থেকে যায়, তাহলে রোজা মাকরুহ হবে না। (এমদাদুল ফাতাওয়া : খ. ২, পৃ. ১৩১)

২০. ভেজা কাপড় শরীরে দেওয়া অথবা ঠাণ্ডার জন্য কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া অথবা গোসল করা মাকরুহ নয়। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৯৪; দারুল উলুম : খ. ৬, পৃ. ৪০৫; বুখারি)

২১. স্বপ্নে কিংবা সহবাসে যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে এবং সুবেহ সাদিকের আগে গোসল না করে রোজার নিয়ত করে, তাহলে তার রোজার মধ্যে অসুবিধা হবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৮০)

২২. গলা খাঁকারি দিয়ে খাদ্যনালি থেকে মুখে কাশি বের করা, তারপর আবার গিলে ফেলা উচিত নয়। তবে এটি মাকরুহও নয়। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৭৩)

২৩. মাথা অথবা চোখে ওষুধ দেওয়া। (এমদাদুল ফাতাওয়া : খ. ২, পৃ. ১২৭)

২৪. হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ঘ্রাণ নেওয়া। (মাহমুদিয়া : খ. ১৫, পৃ. ১৮০)

২৫. রোজা অবস্থায় পাইপ দ্বারা মুখে হাওয়া নিলে। (মাহমুদিয়া : খ. ১৫)

২৬. রোজা অবস্থায় নাকের মধ্যে ওষুধ ব্যবহার করার দ্বারা ব্রেনে না পৌঁছলে। (মাহমুদিয়া : খ. ১৫, পৃ. ১৬৯)

২৭. শরীরের কোনো ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত প্রবাহিত হলে বা রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে রোজাদার থেকে বের করা মাকরুহ। (জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ২৮)

২৮. ডাক্তার যদি চিকিৎসার শুকনো কোনো যন্ত্র পেটে প্রবেশ করায়, অতঃপর তা বের করে ফেলে, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। (আল-ফিকহুল হানাফি)

২৯. পানিতে ডুব দেওয়ার পর কানের ভেতর পানি চলে গেলে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে পানি দিলে রোজা মাকরুহ হয় না। (বিনায়া : খ. ৪, পৃ. ২৯৪; আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০৪)

৩০. জৈবিক উত্তেজনায় শুধু দৃষ্টিপাতের কারণে যদি বীর্যপাত হয়, তাহলে রোজা ফাসেদ হবে না। (আহকামে জিন্দেগি, পৃ. ২৪৯)

রোজা ভঙ্গের সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর 


রোজা ভঙ্গের কারণ স্বপ্নদোষ
 অনেকে আছেন যারা স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যায় কি না এটা জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই এটির উত্তর নিচে দেওয়া হলো। 

প্রশ্নঃ-স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়? 

উত্তর : সিয়ামরত আবস্থায় যদি কারো স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে তার সিয়াম নষ্ট হবে না, যেহেতু তার অনিচ্ছায় এ কাজটি হয়েছে। যে কোনো আমলের মধ্যে যদি ইচ্ছেকৃত বিষয় না থাকে বা অনিচ্ছাকৃত কোনো আমল বান্দার কাছ থেকে হয়ে যায়, এটা যদি সিয়াম ভঙ্গকারী হয়ে থাকে, তাহলে এর মাধ্যমে সিয়াম নষ্ট হয় না।

হাত কেটে রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় যদি শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্ত বের হয় কিংবা সিরিঞ্জ দিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করা হয় তাহলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?

উত্তর : রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গে না। তদ্রুপ সিরিঞ্জ দ্বারা বের করা হলেও রোজা ভাঙ্গে না।

তবে বিশেষ ওযর ছাড়া শরীর থেকে ইচ্ছাকৃত এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার কারণে ওই দিন রোজা পূর্ণ করার শক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। -সূত্র : সহিহ বোখারি, হাদিস ১৯৩৮, ১৯৪০; ফিকহুন নাওয়াযিল- ২/৩০০

রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করা যাবে কি না
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে? এতে কি রোজা নষ্ট হয়ে যাবে?

উত্তর : রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা মাকরূহ। আর পেস্ট বা মাজন গলার ভেতর চলে গেলে রোজাই নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন ব্যবহার করা যাবে না। টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে ব্রাশ করতে হলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগেই করে নিতে হবে। সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া: ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ: ৩/৫১৮







Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form