ভাইভা পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর (২০১৮ ভিত্তিকসিনিয়র অফিসার )
পদ: সিনিয়র অফিসার (২০১৮) ভিত্তিক
তারিখঃ ২০ মার্চ, ২০২২ (বিকালঃ ৪.৫০ মিনিট)
(সময়ঃ ১২-১৩ মিনিট)
বোর্ড- ০৩, সিরিয়াল- ১১
(হুমায়ুন কবির স্যারের বোর্ড) (বোর্ড মেম্বার- ৫ জন)
আমিঃ May I come in Sir?
চেয়ায়ম্যান স্যারঃ হ্যাঁ, আসুন।
আমিঃ সালাম দিয়ে চেয়ারের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।
চেয়ারম্যানঃ বসুন।
আমিঃ ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
চেয়ায়ম্যানঃ আপনার নাম?
আমিঃ মোঃ জহির উদ্দিন মজুমদার।
চেয়ায়ম্যানঃ আপনার রোল বলুন
আমিঃ বললাম।
চেয়ারম্যানঃ পড়াশোনা করেছেন কোথায়?
আমিঃ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
চেয়ারম্যানঃ পাশ করেছেন কবে?
আমিঃ আমাদের সার্টিফিকেটে পাশের সন ২০১৭ লিখা থাকলেও, আমরা মূলত ২০১৯ সালে পাশ করেছি, রেজাল্টও ১৯ সালেই পেয়েছি।
চেয়ায়ম্যানঃ এখন কি করেন?
আমিঃ মাস্টার্স চলছে স্যার।
চেয়ায়ম্যানঃ এখন পর্যন্ত কয়টা ভাইভা দিয়েছেন?
আমিঃ ব্যাংকে প্রথম ভাইভা, তবে আরো দুইটা প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিয়েছি।
চেয়ারম্যানঃ এই পরীক্ষায় আপনার ম্যাথ কয়টা হয়েছিল?
আমিঃ বললাম।
চেয়ায়ম্যানঃ ও আচ্ছা আপনি তো সায়েন্সের স্টুডেন্ট। আচ্ছা বলেন, ৫, ১১ ও ১৬ মিটার দৈর্ঘের তিনটি বাহু দ্বারা একটি ত্রিভুজ আঁকলে সেটি কি ধরণের ত্রিভুুজ হবে?
আমিঃ চিন্তা না করে সাথে সাথেই বললাম বিসমবাহু ত্রিভুজ।
চেয়ারম্যানঃ আপনি সিউর? আঁকতে পারবেন?
আমিঃ (মনে মনে একটু ভাবলাম) না স্যার, এটা দ্বারা তো ত্রিভুজ আঁকা সম্ভব নয়।
চেয়ায়ম্যানঃ কেন সম্ভব না?
আমিঃ কারণ, ত্রিভুুজের যে কোন দুই বাহুর সমষ্টি তার তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর হবে।
চেয়ারম্যানঃ কই দুই বাহুর সমষ্টি তো বৃহত্তর হলো না। ১১ আর ৫ যোগ করলে তো ১৬ হয়।
আমিঃ স্যার সমান হলেও হবে না।
চেয়ারম্যানঃ আচ্ছা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৭ কোটি ছিল, তখন বাংলাদেশ খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলো না, তারপরও জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭০ ভাগ, আর এখন ১৮ কোটি মানুষ, খাদ্যেও দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ! তারপরও জিডিপিতে কৃষির অবদান মাত্র ১২-১৩% কেন? কারণ কি?
আমিঃ স্যার, কৃষিতে সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও, শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির কারণে শতকরা হারে কৃষির অবদান কমেছে।
চেয়ারম্যানঃ খুশি হয়ে, হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক এটাই জানতে চেয়েছি।
এক্সটারনার্ল ১ঃ বলেন, সিনিয়র অফিসার হলে কি কি কাজ করবেন?
আমিঃ এ্যাকাউন্ট অপেনিং, চেক ইস্যু করা, ঋণ দেয়া, আমানত গ্রহণ।
এক্সটারনালঃ বইতে পড়েছেন এগুলো, ঠিক না?
আমিঃ জ্বি, স্যার। (মনে হলো এগুলো ছাড়াও বিশেষ কোন কাজ আছে সিনিয়র অফিসারের, যেটা এগুলোর মধ্যে নাই)
চেয়ারম্যানঃ আচ্ছা আপনি ব্যাংকার হলে কোন কোন গুণাবলি আপনার থাকা দরকার?
আমিঃ গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে, সময়ের প্রতি সচেতন হতে হবে, দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।
চেয়ারম্যানঃ না না, এগুলোতে আছেই মূল কি গুণ দরকার?
আমিঃ আবারো বললাম গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
চেয়ারম্যানঃ ধরেন আপনি ব্রাঞ্চ লোপাট করে ব্রাঞ্চের অর্ধেক টাকা গ্রাহককে দিলেন, বাকি টাকা আপনি নিয়ে গেলেন। এটাও তো গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক হলো। (হাহাহা)। (রুমের সবাই তখন হাসতে শুরু করলো, হাসিতে আমিও যোগ দিলাম)
পরে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আসলে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সততা। সততা না থাকলে আপনার অন্য গুণাবলি থাকলেও কাজ হবে না।
চেয়ারম্যানঃ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভাগ কয়টা?
আমিঃ ৪ টা
চেয়ারম্যানঃ এর মধ্যে কোন বিভাগ গভর্নর নিয়োগ দেন?
আমিঃ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
চেয়ারম্যানঃ বাকিদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ও তাহলে আসুক? সবাই তখন হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালেন।
চেয়ারম্যানঃ আপনি তাহলে আসতে পারেন।
আমিঃ ধন্যবাদ ও সালাম দিয়ে প্রস্থান শুরু করলাম।
চেয়ারম্যানঃ ওহ আপনার বাসা যেন কোথায়?
আমিঃ চাঁদপুরে
চেয়ারম্যানঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আসুন।
(বিঃদ্রঃ বোর্ড মেম্বার ৫ জন থাকলেও ২/১ টা কোশ্চেন ছাড়া বাকি সব কোশ্চেন বোর্ড চেয়ারম্যানই করেছিলেন)।
Tags
Viva