বাংলা সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ নোট - গােবিন্দদাস, জ্ঞানদাস , দৌলত উজির বাহরাম খান, শেখ ফয়জুল্লাহ Important Questions of Bangla Literature


বাংলা সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ নোট - গােবিন্দদাস, জ্ঞানদাস , দৌলত উজির বাহরাম খান, শেখ ফয়জুল্লাহ


গােবিন্দদাস (১৫৩৪-১৬১৩) 


* কবি বিদ্যাপতির ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ চৈতন্যোত্তরকালে খ্যাতি অর্জনকারী কবিদের একজন - গােবিন্দদাস।

গােবিন্দ দাসের কাব্য গুরু ছিলেন - বিদ্যাপতি। 

* গােবিন্দদাস জন্মগ্রহণ করেন - আনুমানিক ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগােলার নিকটবর্তী তেলিয়াবধুরি গ্রামে। 

* গােবিন্দদাসের আসল পদবি - “সেন'। 

* যাকে বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য বলা হয় - গােবিন্দদাস। 

* গােবিন্দদাসের উপাধি ছিল - কবিরাজ। 

* যার কবিতায় মুগ্ধ হয়ে শ্রীনিবাস আচার্য কবিরাজ’ উপাধি প্রদান করেন - গােবিন্দদাস। 

* যার পদাবলিতে মুগ্ধ হয়ে জীব গােস্বামী কবিন্দ্র’ উপাধি প্রদান করেন - গােবিন্দদাস। 

* “গীতগােবিন্দ’ যার বিখ্যাত পদাবলি - গােবিন্দদাস। 

* 'গীতগােবিন্দ যার রচনা - গােবিন্দদাস। 

* গীতগােবিন্দ যে ভাষায় রচিত - ব্রজবুলি। 

* গােবিন্দদাস মারা যান - আনুমানিক ১৬১৩ সালে। 

* গােবিন্দদাস রচিত সংস্কৃত নাটক ‘সংগীতমাধব’। 

তিনি এটি রচনা করেন রাজা সন্তোষদত্তের অনুরােধে এ গ্রন্থে তার পারিবারিক পরিচিতি পাওয়া যায়।



জ্ঞানদাস 


* জ্ঞানদাস যার ভাব শিষ্য ছিলেন – চন্ডীদাস। 

* বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় দুইশ পদ রচনা করেন - জ্ঞানদাস। 

* জ্ঞানদাস জন্মগ্রহণ করেন - আনুমানিক ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কাঁদড়া গ্রামে।
 
* বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় দুইশ পদ রচনা করেন – জ্ঞানদাস। 

কবি জ্ঞানদাসের জন্মস্থান - বর্ধমান।

* জ্ঞানদাস যে নামে পরিচিত ছিলেন - শ্রীমঙ্গল, মঙ্গলঠাকুর, মদনামঙ্গল। 

এ জ্ঞানদাস যে সময়ের কবি ছিলেন - যােডশ শতাব্দি। 

এ যিনি বাংলাভাষার কবি - জ্ঞানদাস। 

* রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভাের’ যার রচনা - জ্ঞানদাস।



দৌলত উজির বাহরাম খান 


* দৌলত উজির বাহরাম খান চট্টগ্রামের ফতেহবাদ/জাফরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। 

তাঁর পিতা চট্টলাধিপতির উজির মােবারক খান। 

* তাঁর প্রকৃত নাম আসাউদ্দীন/বাহরাম খান। উপাধি : দৌলত উজির।
 
* তাঁর কাব্যসমূহ হলাে : ‘জঙ্গনামা’ বা ‘মকুল হােসেন’, ‘লায়লী - মজনু’ (১৫৪৩-৫৩), “ইমাম-বিজয়। 

* দৌলিত উজির বাহরাম খান রচিত প্রথম কাব্য – জঙ্গনামা’ বা 'মল হােসেন। কারবালার বিষাদময় কাহিনি অবলম্বনে এটি রচনা করেন।

‘লায়লী-মজনু’ অনুবাদ করেন দৌলত উজির বাহরাম খান। তিনি পারসিয়ান কবি নিজামির ‘লায়লা ওয়া মজনুন’ থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। 

* বাংলা অনুবাদ কাব্যের সূচনা হয় - মধ্য যুগে।

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য | 

অবদান - রােমান্টিক প্রণয়ােপখ্যান।

* হিন্দি ও ফারসি কাব্য থেকে যে কাব্য ধারার প্রচলন হয়েছে - প্রণয়ােপখ্যান।

লায়লী-মজনু কাব্যের অনুবাদক হলেন - দৌলত উজির বাহরাম খান। 

লাইলী-মজনু কাব্যের উপাখ্যান যে দেশের - ইরান। 

দৌলত উজির বাহরাম খান যে অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন - চট্টগ্রাম।


শেখ ফয়জুল্লাহ


* শেখ ফয়জুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন - পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত/দক্ষিণ রাঢ়/কুমিল্লায় । 

* মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি - শেখ ফয়জুল্লাহ। 

* নাথ সাহিত্যের প্রধান কবি - শেখ ফয়জুল্লাহ। 

* মুসলমান হয়েও নাথ সাহিত্য রচনা করেন - শেখ ফয়জুল্লাহ। 

* শেখ ফয়জুল্লাহ নাথ সাহিত্যের আদি কবি এবং তাঁর নাথ ধর্মবিষয়ের আখ্যানকাব্যের নাম “গােরক্ষ বিজয়'। 

* মর্সিয়া সাহিত্যের প্রথম কবি শেখ ফয়জুল্লাহ। তাঁর রচিত কাব্য ‘জয়নাবের চৌতিশা' (১৫৭০)। এটি কারবালার কাহিনির একটি ছােট অংশ অবলম্বনে রচিত।

* শেখ ফয়জুল্লাহর অন্যান্য রচনাবলি : 'গাজী বিজয়’, 'সত্যপীর’ (১৫৭৫), ‘সুলতান জমজমা’ (নীতিকথা), 'রাগনামা’, ‘পদাবলী'। 

* রংপুরের খোঁয় দুয়ারের পীর ইসমাইল গাজীর বিজয় কোন কাব্যের মূল বিষয় - গাজী বিজয়। 

শেখ ফয়জুল্লাহ প্রথম মর্সিয়া কাব্য - জয়নবের চৌতিশা।
 
শেখ ফয়জুল্লাহ নীতিকথা বিষয়ক কাব্য - সুলতান জমজমা। 

শেখ ফয়জুল্লাহ 'গােরক্ষ বিজয়’ গ্রন্থটি আবিষ্কার করেন - আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ।
 
* 'গােরক্ষ বিজয়’ কাব্য যে ধর্মমতের কাহিনী অবলম্বনে রচিত - নাথধর্ম।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form